ঘাটাইল উপজেলার সাহিত্য ও সাংবাদিকতা
চার্যাপদ থেকে বাংলা সাহিত্যের যে শুভ সূচনা হয়েছিল, কালের প্রবাহে তা বিবর্তিত, সম্প্রাসারিত ও সমৃদ্ধ হয়ে আজকে তা বিশ্বেও অন্যতম সম্যদ্ধ হয়ে আজকে তা বিশ্বেও অন্যতম সমৃদ্ধ সাহিত্যের আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে। এ আসন অর্জনের পেছনে ঘাটাইল অঞ্চলের কবি, সাহিত্যিক ও লেখকদের অবদানও কম নয়। অনেক কবি, ঔপন্যাসিক, ছড়াকার, নাট্যকার এবং প্রবন্ধকারের জন্ম হয়েছে এ উপজেলায়। তাদেও অবদানে সাহিত্যেও নানা শাখায় ঘটেছে বিপুল সমৃদ্ধি।
সমগ্র প্রাচীন বাংলা সাহিত্যের মত ঘাটাইল অঞ্চলের প্রাচীন সাহিত্যেও ইতিহাসও নানা কারণে অস্পষ্ট ও অসম্পূর্ন। যথোপযুক্ত সংরÿণ এবং ব্যাপক অনুসন্ধানের অভাবে সাহিত্যের অনেক নিদর্শন আজ বিলুপ্ত। প্রাচীন পান্ডুলিপির সামান্য অংশই সংরÿণ ও সংগ্রহীত হয়েছে। অধিকাংশ বিনষ্ট হয়ে গেছে। বিনাশের কারণ বিরম্নপ আবহাওয়া, প্রাকৃতিক বিপর্যয় এবং কীট পতঙ্গ ও পোকামাকড়ের অপত্রিম্নয়া। এ সব কারণে ঘাটাইল অঞ্চলের প্রাচীন সাহিত্যের ইতিহাসের কোন চিহৃসূত্র আজ আর খুজে পাওয়া যায় না।
মধ্যযুগে ঘাটাইল অঞ্চলের সাহিত্যেও ঐতিহ্য অত্যমত্ম উজ্জবল। এ যুগে বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ট ফসল বৈষ্ণব পদাবলী। রাধা-কৃষ্ণের প্রেমলীল অবলম্বনে রচিত হয়েছে এই অমর সৃষ্টি। শ্রী চৈতন্যদেব প্রচারিত বৈষ্ণব মতবাদেও সম্প্রসারণে এর বিসত্মার ঘটে। পদাবলীর কবিরা বৈষ্ণব তত্ত্বেও পটভূমিকারয় এই অপূর্ব সুন্দর পদগুলি রচনা করেছিলেন।
চৈতন্যদেবের সমকালে সমগ্র বাংলায় ভক্তিমার্গের এক উচ্ছুসিত পস্নাবন বয়ে যায়। সেদিন এই ভাক্তিরসের ঢেউ ঘাটাইল অঞ্চলের মানুষের হৃদয়তটেও আঘাত হানেছিল। কারণ চৈতন্যদেবের প্রিয় পার্যদ মাধবাচার্য চৈতন্যের ভক্তিধর্মেও বাণী প্রচার করার জন্য বৈষ্ণব তীর্থ ঘাটাইল গুপ্ত বৃন্দাবনে এসে হাজির হয়েছিলেন। ঐতিহাসিক কেদারনাথ মজুমদারের মতে, চৈতন্য ভক্ত মাধবাচার্য রাধা-কৃষ্ণের কাল্পনিক লীলা অভিসার বিজড়িত গুপ্ত বৃন্দাবনে কিছুদিন বসবাস করেন এবং তিনি গুপ্ত বৃন্দাবনের সংস্কার সাধন করেন। সাগরদীঘির পাঁচ কিলোমিটার পূর্বে গুপ্ত বৃন্দাবন অবস্থিত।
ঐতিহাসিক কেদারনাথ মজুমদারের মতে, মাধবাচার্য মতে, শুধু চৈতন্যদেবের ভক্ত শিষ্যই নন, একজন বিখ্যাত কবিও বটে। এই গুপ্ত বৃন্দাবনে বসেই তিনি ‘চন্ডি মঙ্গল’ নামে একটি বিখ্যাত বৈষ্ণবকাব্য রচনা করেছেন। কিন্তু বাংলা সাহিত্যেও প্রখ্যাত পন্ডিত সুকুমার সেন এই মতের বিরোধিতা করেছেন। তার মতে‘চন্ডি মঙ্গল’ কাব্যেও রচয়িতা মাধবাচার্য নদীয়া জেলায় সপ্তগ্রামের বাসিন্দা। ফলে মাধবাচার্য সম্পর্কে কেদারনাথ মজুমদার প্রদত্ত তথ্য নিয়ে বিভিন্ন মহলে সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে বাংলা সাহিত্যেও অনুসন্ধিৎসু গবেষক আলি নওয়াজ তার ‘‘ময়মনসিংহ গীতিকা’’ শীর্ষক নিবন্ধে উলেস্নখ করেছেন যে কবি মাধবাচার্য চন্ডী মঙ্গলের রচয়িতা। তিনি শ্রী চৈতন্যদেবেন শ্যালক। তার আদি নিবাস কিশোরগঞ্জে। আশুতোষ পাল নামে আরও একজন সাহিত্য গবেষক তার ‘‘ময়মনসিংহের কাব্য সাধনা’’ শীর্ষক নিবন্ধে উলেস্নখ করেছেন যে, মাধবাচার্য নামে দু’জন কবি ছিলেন। একজন বৈজ্ঞব, অপরজন শাক্ত। এ গবেষণা নিবন্ধ দু’টি ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ প্রকাশিত ‘ময়মনসিংহের সাহিত্য ও সংস্কৃতি’ নামক গ্রন্থে স্থান পেয়েছে। এছাড়া ‘ময়মনসিংহের চরিতাভিধানে’ দরজি আবদুল ওয়াহাব লিখেছেন, মাধবাচার্য ষোড়শ শতাব্দীর একজন প্রখ্যাত কবি ও বৈঞ্জব ধর্ম প্রচারক, নিবাস কিশোরগঞ্জে। শ্রী চৈতন্যেও তিরোধনের পর ময়মনসিংহ অঞ্চলের গুপ্ত বৃন্ধাবন তার স্মৃতি বহর করছে। গ্রন্থ ‘চন্ডী মঙ্গল’ এসব তথ্য পাবার পর সন্দেহের আর কোন অবকাশ থাকে না যে, কেদারনাথ মজুমদার প্রদত্ত তথ্য অভ্রামত্ম। তবে সুকুমার সেন যে মাধবাচার্যেও কথা বলেছেন, ‘চন্ডি মঙ্গল’ নামে তারও একটি কাব্যগ্রন্থ রয়েছে। তার নিবাস নদীয়ারা সপ্তগ্রামে। নদীয়ার বাসিন্দা হলেও তিনি বৈজ্ঞব ছিলেন না। তিনি ছিলেন শাক্ত।
মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে মনসামঙ্গল আরেকটি গুরম্নত্বপূর্ন কাব্য ধারা। দেবি মনসার মাহাত্ম্য প্রচারের লÿÿ্য রচিত কাব্যই মনসা মঙ্গল কাব্য নামে পরিচিত। এ কাব্য ধারার মোট ৬২ জন কবি রয়েছেন। এ মধ্যে কানা হরিদত্ত, নারায়ন দেব, দ্বিজবংশী দাসও শ্রী রায় বিনোদ প্রমূখ কবিরা ঘাটাইলে সন্নিহিত অঞ্জলের বাসিন্ধা। উপরমত্ম ঘাটাইলের পূর্বাঞ্চলে বেহুলা ও লÿÿন্দর নামে দু’টি গ্রাম রয়েছে। এক সময় এ গ্রাম দুটিতে ভাষাণ গানের ব্যাপক ছিল। ফলে এ অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষের বিশ্বাস যে, মনসা মঙ্গল কাব্য এ অঞ্চলের কবিদের লেখা। কিন্তু প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে কানা হরি দত্ত ময়মনসিংহ নান্দাইলের, নারায়ন দেব তারাইল-কিশোরগঞ্জে এবং শ্রী রায় বিনদ ধুববড়িয়া টাঙ্গাইল অঞ্চলের বাসিন্ধা।
তবে মধ্যযুগে ঘাটাইলে মনসা মঙ্গল কাব্য ধারার একজন কবির সন্ধান আমরা পাই। তার নাম কবি পূর্নচন্দ্র মিত্র। ‘পদ্ম পুরান ’ কাব্য নামে তার একটি গ্রন্থের সন্ধান পাওয়া গেছে। তার বাড়ি গলগন্ডা গ্রামে। ‘পদ্ম পুরান’ কাব্য গ্রন্থ টি রচনার নিশ্চিতকাল জানা যায় নি। তবে ধারনা করা হয় যে, তিনি ষোড়শ শতকের একজন উলেস্নখ্যযোগ্য কবি ছিলেন। এ সময় রম্নপের বয়ড়া গ্রামে রম্নপরাম নামে আরও একজন কবির সন্ধান পাওয়া গেছে। তার রচিত কাব্য গ্রন্থের নাম ‘ধর্ম মঙ্গল’।
পুথি সাহিত্য আমাদের ÿয়িঞ্চু সংস্কৃতিধারার জীবমত্ম স্বাÿর। রোমান্টিক প্রণয়োপখানাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় কাহিনাী ছিল পুথির মুল উপজীব্য। ষোড়শ সপ্তদশ শতকে আরবি-ফারসি শব্দ মিশ্রিত এ নতুন কাব্য ধারা সৃষ্টি মুসলমান কবিদের উলেস্নখযোগ্য কীর্তি। ঘাটাইল অঞ্চল থেকে বেশ কিছু পুরাতন পুথি উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ইমাম সাগরের পুথি অন্যতম। পুথির শায়েবের নাম বরকত সরকার। তিনি বীরসিংহ গ্রামের বাসিন্ধা। জন্ম ১৭৩২ সনে। এছাড়া কবি মোফাখ্খারম্নল ইসলাম রম্নপের বয়ড়া থেকে জহির উদ্দিনের কিছু পুথি উদ্ধার করেছেন। কিন্তু এসব পুথির নাম উদ্ধার করা যায় নি। বরকত সরকারের লেখা ইমাম সাগরের পুথিটি তুলট কাগজে লেখা। এটি পয়ার ছন্দে দোভাষী রীতিতে রচিত। এটি পড়লে বুঝা যায় আরবীতে পুথিকারের ভাল দÿতা ছিল।
বাংলা সাহিত্যের উজ্জ্বল ঐতিহ্য সৃষ্টিতে সকল অঞ্চলের কবি সাহিত্যকারদের অবদান অনস্বকার্য। কিন্তু আধুনিক যুগে পরিসিমায় যে রূপ রেখা তৈরীহয়েছে, তাদে ঘাটাইল অঞ্চলের কবী সাহিত্যদের অবদান কম নয়। আধুনীক কবিতা চরর্চা সূচনা পূর্বে ধলাপাড়া কবি রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী সনেট রচনায় বিশেষ পারদর্শিতা দেখিয়েছিলেন। তার কনিষ্ঠ ভাতা রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী একজন বিশিষ্ঠ কবি। সনেট রচনায় তিনি সিদ্ধহসত্ম ছিলেন। নূরপাড়ার মুফাখুরুল ইসলাম একজন লব্ধ প্রতিষ্ঠিত ঐতিহাসিক, প্রাবন্ধিক, নাটোক্যার ও প্রথিতষশা কবি। তার কবিতায় ইসলামির ঐতিয্য প্রভাব আছে। প্রথম জীবনে তিনি কিছু রোমান্টিক গীতি কবিতাও রচনা করেছেন।
আধুনিক কবিতার মেজাজ, গঠন-প্রকৃতি, শব্দ চয়ন ও জীবন-জটিলতার অনুভূমি যে সব কবিদের হাতে স্বার্থক রম্নপ নিয়েছে, তার মধ্যে রয়েছেন আঠরদানার কবি সাইয়িদ আতিকুলস্নাহ, ঘূনীর রফিক আজাদ, দীঘলকান্দির বুলবুল খান মাহবুব, শাইট শৈলার মুজাফফর আলী তালুকদার ফুলহারার সোহরাব পাশা, ধলাপাড়ার আলমগীর রেজা চৌধূরী প্রমুখ। ভাবনদত্তের মামুনুর রশিদ বাংলা নাটকের এক উজ্জবল নÿত্র। সমাজ জীব
কেথা সাহিত্য সাইয়িদ আতিকুলস্নাহ, আরেফিন বাদল, এস.এ.এস জাকারিয়া প্রমুখ লেখকগনগন ইতিমধ্যে বিশেষস্থান করে নিয়েছেন। শিÿাবিদ সুপন্ডিত, লেখক ও বিশিষ্ট অনুবাদক রজনীকামত্ম গুহ আমাদের গৌরব। বাংলা সাহিত্যে তিনিও তার নিজস্ব আসন তৈরি করে নিয়েছেন। ছড়ায় আলম তালুকদার, শরীফ আব্দুল হাই, সিরাজ সৈকত, সাজু রহমান, ইতিমধ্যে বিপুল সাড়া জাগিয়েছে।
সাংবাদিকতা ÿÿত্রে ঘাটাইল পিছিয়ে নেই। সাইয়িদ আতিকুলস্নাহ, রফিক আজাদ, বুলবুল খান মাহবুব, আরেফিন বাদল, জুলফিকার হায়দার, এনামুল হক, তালুকদার হারম্নন, হায়দার আলী খান, নৃপেন বিশ্বাস, হায়দার রহমান প্রমুখ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্র পত্রিকায় গুরম্নত্বপূর্ন দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। এছাড়াও স্বাধীন আজম, ফজলুর রহমান, নুরম্নজ্জামান, হোসনে শহীদসহ এক ঝাক টসবকে তরম্নন ঘাটাইলে স্থায়ী ভাবে কিছু পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু এসব পত্রিকার আয়ুকাল ছিল খুব স্বল্প। স্থানীয়ভাবে প্রকাশিত পত্রিকাগুলোর মধ্যে গতি, গাংচিল, অমত্মরঙ্গ রকমারি, ঝিনুক, ঘাটাইল পরিক্রমা, সময়চিত্র, মাসিক ঘাটাইল, সোনার কাঠি প্রভৃতি উলেস্নখ্যযোগ্য। এছাড়া পাকুটিয়া সৎসঙ্গ আশ্রম থেকে ‘সৎসঙ্গ সংবাদ’ নামে নিয়মিত একটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। পত্রিকার সম্পাদকের নাম নটো কিশোর আদিত্য। একটি মাত্র প্রেস রয়েছে। প্রেসটির নাম মোহাম্মদি প্রেস। কুশারিয়ার রিয়াজ উদ্দিনের প্রেসটির সত্বাধিকারী।
ঘাটাইলে যে সব কবি সাহিত্যক জন্মগ্রহন করেছে তাদের একটা সংÿÿপ্ত পরিচয় আমরা এখানে লিপিবদ্ধ করব।সব কবি সাহিত্যক সম্পর্কে পূণাঙ্গ তথ্য সংগ্রহের আপ্রান চেষ্ঠা করা হয়েছে। কিন্তু তা সত্বেও বহু প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয় নি-
আতাউর রহমান খানঃ ১৯১৮-১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দ্র। গ্রাম- দিঘলকান্দি। পিতা- আব্দুল করিম খান। অকাল মৃত্যুর কারণে তার কাব্য সম্পাদনার সময় ছিল খুব স্বল্প। তার প্রকাশিত গ্রন্থ-উষসী, জিন্দেগী, সুরের সমাধি, ছন্দপতন, মরণকীট, এপীঠ ওপীড, খোশ আহদেদ।
আফতাব উদ্দিন খানঃ গ্রাম বাগুমত্ম। করটিয়া পন্নী এস্টেটের নায়েব তহশিদার ছিলেন। তার প্রকাশিত গ্রন্থেও নাম- আত্মবিলাপ।
আব্দুল করিম খানঃ জন্ম ১৯৯৯ বঙ্গাব্দ। গ্রাম- দিঘলকান্দি। ঐতিহাসিক ও গবেষক। পেশায় তিনি উকিল ছিলেন। কিন্তু ইতিহাস ছিল তার প্রিয় বিষয়। তথ্য সমৃদ্ধ গবেষনামূলক ইতিহাস গ্রন্থ ‘‘তরফ গৌরাঙ্গীর ইতিহাস’’ তার উলেস্নখযোগ্য কর্ম। তার আরও কয়েকটি অপ্রকাশিত গ্রন্থ রয়েছে। এগুলো হচ্ছে- দিলস্নী আগ্রা আজমীর ভ্রমন কাহিনী, বঙ্গের মুসলমান আউলিয়াগনের কাহিনী, মধ্যে ও দÿÿন টাঙ্গাইলের প্রাচীন মুসলমান বংশ পরিচয়, টাঙ্গাইলের মুসলমান জমিদারগনের বংশ বিবরনী ইত্যাদি।
আবুল মুনসুর আহমেদঃ জন্ম ১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্র। গ্রাম- কাউটেনগর। পিতা- জাহী ইসমাঈল হোসেন। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এম.এ পাশ করেছেন। বর্তমানে জি.বি.জি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যÿÿর পদে সমাসীন রয়েছেন। তিনি প্রচুর গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ লিখেছেন এবং এখনও লিখছেন।
আলম তালুকদারঃ জন্ম ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দ। গ্রাম- গালা। আসল নাম মোহাম্মদ নুর হোসেন তালুকদার। তবে আলম তালুকদার নামেই তিনি সমধিক পরিচিত। বাবা-সোহরাব হোসেন তালুকদার, মা- মিসেস শহর বানু। ১৯৮০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে এম.এ পাশ করেন। তিনি একজন উর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা। এ পর্যমত্ম তার প্রকাশিত গ্রন্থগুলি হচ্ছে- ঘুম তাড়ানো ছড়া, খ্যোচান ক্যান?, ঐ রাজাকার, চাদের কাছে জোনাকি, অবশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, শিশুটামি, যুদ্ধে যদি যেতাম হেওে, কেমন করে স্বাধীন হলাম, আলাপ না প্যাচাল, মহাদেশ বাংলাদেশ উপদেশ।
আরেফিন বাদলঃ জন্ম ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দ। গ্রাম- পোড়াবাড়ী। সাংবাদিক ও লেখক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এম. এ পাশ করেছেন। বর্তমানে পাÿÿক তারকালোক, মাসিক কিশোর তারকালোক, এবং সাপ্তাহিত আগামী পত্রিকার মালিক ও সম্পাদক। প্রকাশিত বই- আগামীকাল ভালবাসার, প্রসবোন্মুখ যন্ত্রনা বিদ্ধ, বাংলাদেশের গল্প, ঐতিহাসিক প্রেমপত্র, নিসর্গের সমত্মারেনা, মাওলানা ভাসানী।
আলতাফ হোসেন খানঃ জন্ম- ১৯০৭-১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দ। গ্রাম- লোকেরপাড়া। অত্যমত্ম মেধাবী ছাত্র ছিলেন। সরকারি চাকুরি করতেন। প্রকাশিত বই- ফেলে আসা দিনগুলি, কতটুকু চালাক তুমি, কবিতা মঞ্জুরি।
আলমগীর রেজা চৌধুরীঃ জন্ম-১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দ। গ্রাম- ধলাপাড়া। শিÿা- সণাতক। পেশা- চাকুরি। প্রকাশিত বই-ভালবাসার অমর চিঠি, সুদুরের ফানুস, রাজকন্যার দৌড়, কষ্ট বনিক।
আবদুর রাজ্জাকঃ জন্ম-১৯৩৮খ্রিষ্টাব্দ। গ্রাম- ফুলবাড়ী। সণাতক পাশ। পেশা- শিÿকতা। প্রকাশিত বই-ছায়া ও মায়া।
কৃজ্ঞানন্দ সাহা রায়ঃ জন্ম-১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দ। গ্রাম- ডৌজানি। সরকারি চাকুরি করতেন। বর্তমানে অবসর জীবনযাপন করেছেন। কবিতা, গল্প ও প্রবন্ধ লেখেন। প্রকাশিত বই-বিলম্বিত জোসনা, দিনের শেষে রাতের তারা, চৈতন্যেও অমত্মরালে।
খলিলুর রহমান অধ্যাপকঃ জন্ম-১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দ। গ্রাম- দিগর। ১৯৭২ সালে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য এম.এ পাশ করেছেন। বর্তমানে অধ্যাপনায় নিয়োজিত রয়েছেন। তার প্রকাশিত বই- আধুনিক বাংলা কাব্যের রম্নপরেখা।
খুশী মোহন সরকারঃ গ্রাম-লাহিড়ীবাড়ি। পেশা- শিÿকতা। প্রকাশিত বই- শুধু চোখের জল।
চৌধুরী হাবিবুর রহমান সিদ্দিকীঃ জন্ম-১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দ। গ্রাম- ভদ্রবাড়ী। সরকারি চাকুরে ছিলেন। বর্তমানে অবসর জীবনযাপন করছেন। প্রকাশিত বই- রবীন্দ্র কাব্যে নদী, গণ জাগরণে মানুষের কবি নজরম্নল, তাজমহল, হিমালয়।
জুলফিকার হায়দারঃ জন্ম-১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দ। গ্রাম- শংকরপুর। পিতা- হাজী কানু তালুকদার, মাতা- হাজেরা খাতুন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে সণাতক সম্মান। পেশা- সাংবাদিকতা। প্রকাশিত বই- ঘাটাইলের ইতিহাস ও ঐতিহ্য, বাংলাদেশের কৃষক আন্দোলন ও হাতেম আলী খান।
জিন্নাহ বিন জয়েন উদ্দিনঃ জন্ম- ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দ। গ্রাম- বেনীমাধব। পিতা- জয়েন উদ্দিন পেশা- শিÿকতা। প্রকাশিত বই- গাংচিল।
দিলারা হাফিজঃ জন্ম-১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দ। গ্রাম- ঘূনী। শিÿা- বাংলায় এম.এ। পেশা- অধ্যানপা। প্রকাশিত বই- ভালবাসার কবিতা, পিতা-পুত্র অথবা প্রেমিক।
দেলোয়ার টাংগালাঃ জন্ম-১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দ। গ্রাম- গালা। পিতা- মরহুম ওসমান গনি, মাতা- জোহরা বেগম। শিÿাগত যোগ্যতা- ইতিহাসে এম.এ। পেশা- ব্যাংকিং। প্রচুর ছড়া ও কবিতা লিখেছেন।
নৃপেন বিশ্বাসঃ গ্রাম- নন্দনগাতি। পিতা- গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস। পেশা- সাংবাদিকতা। কবিতা ও নাটক লেখেন।
পূর্নচন্দ্র মিত্রঃ গ্রাম- গলগন্ডা। প্রকাশিত বই- পদ্ম পুরান।
বরকত সরকারঃ ১৯৩২-১৮১০ খ্রিষ্টাব্দ। গ্রাম- গালা-বীরসিংহ। তিনি মূলত একজন পুথি লেখক। প্রকাশিত বই। ইমান সাগরের পুথি।
বাদল আশরাফঃ জন্ম- ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দ। গ্রাম- শরীফবাড়ী। পিতা- ডাঃ হাতেম আলী তালুকদার ও মাতা- হাজেরা খাতুন হেনা। বাংলায় এম.এ। পেশা- অধ্যাপনা। প্রচুর গল্প ও কবিতা লিখেছেন।
বুলবুল খান মাহবুবঃ জন্ম- ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দ। গ্রাম- দিঘলকান্দি। পিতা- আবদুল করিম খান। বাংলা ভাষা ও সাহিত্য এম.এ। রাজনীতিবিদ, কবি ও সম্পাদক। স্যাড জেনারেশনের নেপথ্য নায়ক। প্রকাশিত বই- রক্তের কারম্নকাজ, জখমী সাথীকে নিয়ে আমরা দশ জন, পূর্ব দিগমেত্ম সূর্যোদয়, প্রতিবাদী কবিতা, চোখের বদলে চোখ।
মদন মোহন সাহাঃ জন্ম- ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দ। গ্রাম- কালিদাসপাড়া। পিতা- ব্রজসাহী সাহা। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এম.এ। পেশা- অধ্যাপনা। প্রকাশিত বই- বেনামী সর্বনাম।
মুজাফফর আলী তালুকদারঃ জন্ম- ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দ। গ্রাম- সাইটশৈলা। বি.এ.বি.এড। পেশা- শিÿকতা। প্রকাশিত বই-ডানা ভাঙ্গা পাখি, নত করে দাও, তুমি সুন্দর, ছড়া দিয়ে গড়া, নীল আকাশে অনেক ডাক, বি এ পাস, অনমেত্ম হারিয়ে যায় আশা, অঞ্জলি ও অন্যান্য কবিতা, চাদের বুকে জল, শিরোনামহীন, এ পথে অনেক রোদ।
মুফাখখারম্নল ইসলামঃ জন্ম-১৯২১ খ্রিস্টাব্দ। গ্রাম- নূরপাড়া। পিতা- মৌলবী ময়েজ উদ্দিন আলভী উয়ায়সী। শিÿা- এম.এ। একজন প্রতিথযশা অধ্যাপক, কবি, প্রত্মতাত্ত্বিক, ঐতিহাসিক, প্রবন্ধকার ও নাট্যকার। তার প্রকাশিত বই- হে পাক ফৌজি, মুর্শিদ, বয়াতি, আওলাদ, আশ্রিত, ঈদের খুশী, হেনা, আদম আশিক, আলস্নাহকে দেখা যায়, টাঙ্গাইলে ইসলাম, ইতিহাসের ফাক, আদি তরিকা।
মতিয়ূর রহমান খানঃ জন্ম -১৯৫২ খ্রিস্টাব্দ। গ্রাম- চৈথট্ট। পিতা- মাহতাব উদ্দিন খান। শিÿা- বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এম.এ। পেশা- অধ্যাপনা। বই-রক্ত ঝরা গোলাপ।
মোহাম্মদ আরশেদ আলীঃ জন্ম- ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দ। গ্রাম- কাছরা। পিতা- শুকুর মামুদ, পেশা- শিÿকতা। প্রকাশিত বই- বিরহ ব্যথা।
রজনীকামত্ম গুহঃ ১৮৬৭- ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দ। গ্রাম- জামুরিয়া। শিÿাবিদ, সুপন্ডিত, ব্রাÿনেতা ও লেখক। ১৮৮১ সালে ছাত্র বৃত্তি পাশ করেন। ১৮৮৮ সালে ময়মনসিংহ ইন্সিটিটিউশন থেকে বৃত্তিসহ প্রবেশিকা ও ১৮৯০ সালে ঢাকা কলেজ থেকে এফ.এ এবং ১৮৯২ সালে ইংরেজীতে অনার্সসহ (দ্বিতীয় স্থান) বি.এ পাশ করে বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিÿক হন। ১৮৯৩ সালে প্রথম শ্রেনীতে তৃতীয় স্থান অধিকার করে এম.এ পাশ করেন। ১৮৯৪ সালে ভবানীপুর এল এম এল কলেজে অধ্যাপনা শুরম্ন করেন। ১৮৯৪-৯৬ সালে কলিকতা সিটি কলেজে ইংরেজীর অধ্যাপক ছিলেন। পরে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে কাজিপুর স্কুল প্রতিষ্ঠা করে সে স্কুলে ১৮৯৭-১৯০১ সাল পর্যমত্ম সামান্য বেতনে শিÿকতা করেন। ২১ জুন ১৯০১ থেকে ৩০ জুন ১৯১১ সাল পর্যমত্ম বরিশাল ব্রজমোহন কলেজে প্রথমে অধ্যাপক এবং পরে অধ্যÿ পদে কাজ করেন। সে সময় স্বদেশী দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ফলে পদচ্যুত হন। ১ জুলাই ১৯১১ থেকে ৩০ জুন ১৯১৩ সাল পর্যমত্ম ময়মনসিংহ আনন্দ মোহন কলেজে অধ্যাপনা করেন। ১ জুলাই ১৯১৩ থেকে ৩০ জুন ১৯১৪ সাল পর্যমত্ম কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন। কিন্তু সরকারি নির্দেশে পুনরায় পদচ্যুতি ঘটে। এরপর কলকাতা সিটি কলেজে অধ্যাপনার কাজে নিযুক্ত হন। ১৯৩৬ সালে তিনি সিটি কলেজের অধ্যÿ হন। তিনি বাংলা, ইংরেজী, সংস্কৃডু, গ্রীক, ল্যাটিন, ফারসী ভাষা জানতেন। তার লেখা বই-সম্রাট মার্কস অরেলিয়াস (মূল গ্রীক থেকে অনুবাদ), মেগাস্থিনিসের ভারত বিবরণ (অনুবাদ), এন্টেনিয়াসের আত্মচিমত্মা (গ্রীক থেকে অনুবাদ), সক্রেটিস।
রফিক আজাদঃ জন্ম-১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দ। গ্রাম- ঘুনী। শিÿা- বাংলা ভাষা ও সাহিত্য এম. এ। প্রথমে অধ্যাপনা, বাংলা একাডেমীর উপপরিচালক, এরপর সাপ্তাহিক রোববারে নির্বাহী সম্পাদক। পরবর্তীতে ঘরে বাইরে পত্রিকার সম্পাদক। কয়েক বছর জুট মিল করপোরেশনের চাকুরি। বর্তমানে উপজাতীয় সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটয়ের পরিচালক। কবিতায় বাংলা একাডেমী পুরস্কার পেয়েছেন। তার প্রকাশিত বই-অসম্ভবের পায়ে, সীমাবদ্ধ জলে সীমিত সবুজ, চুনিয়া আমার আর্কেডিয়া, সশস্ত্র সুন্দর, এক জীবন, হাতুড়ির নীচে জীবন, পরকীর্ণ পানশালা আমার স্বদেশ, নির্বাচিত কবিতা, শ্রেষ্ট কবিতা, প্রেমের কবিতা, প্রিয় শাগীগুলি, অঙ্গীকারের কবিতা, কারো অশ্রম্নপাত, ÿমা কর বহমান হে উদার অমেয় বাতাস, কবিতা সমগ্র।
রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরীঃ ১৯০২-১৯৫২ খ্রিস্টাব্দ। গ্রাম- ধলাপাড়া। সনেটিয়ার কবি। তার সনেট বুলবুল, মাহেনও, সওগাত প্রভৃতি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। জীবিতকালে তার কোন বই প্রকাশিত হয় নি। বাংলা একাডেমী তার সমগ্র কবিতা প্রকাশের দায়িত্ব নিয়েছে।
শফি কামাল বাদলঃ জন্ম-১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দ। গ্রাম- ফুলবাড়ী মানাজি। পিতা- জমির উদ্দিন আহমেদ। প্রকাশিত বই- অষন্ড আকাশ উত্তর আকাশ শীতকাল করে আসবে উর্বশী।
শাজু রহামানঃ জন্ম-১৯৬০ খ্রিস্টাব্দ। গ্রাম- ছয়আনি বকশিয়া। পিতা- মিয়াউলস্নাহ সরকার, মাতা- সখিনা খাতুন। শিÿা- বাংলা ভাষা ও সাহিত্য এম.এ। পেশা- অধ্যাপনা। প্রকাশিত বই-থই।
শরীফ আবদুল হাইঃ জন্ম- ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দ। গ্রাম- শরীফবাড়ী। পিতা- ইউনুস আলী আহমেদ। বর্তমানে শিÿক প্রশিÿন ইনস্টিটিউটে কর্মরত। প্রকাশিত বই-কান ধরে দাও টান।
শামসুর রহমান খানঃ গ্রাম- বাগুনতা। রাজনীতিবিদ, আইনজীবী, মুক্তিযোদ্ধা ও নাট্যকার। টাঙ্গাইল বিন্দুবাসিনী হাই স্কুল থেকে ১৯৪৯ সালে ম্যাট্রিক, করটিয়া সা’দত কলেজ থেকে ১৯৫৪ সালে বি.এ এবং সিটি ল কলেজ থেকে ১৯৬৭ সালে এল এল বি পাশ করেন। ১৯৫৪-৫৬ সালে টাঙ্গাইলে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যকরী সংসদের সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি। ১৯৬৫-৬৬ সালে টাঙ্গাইল মহকুমা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। ১৯৬৯-৭২ সালে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় উত্তর-পূর্ব জোনের আঞ্চলিক প্রশাসন কাউন্সিলের সভাপতি ছিলেন। বর্তমান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন-সম্পাদক। ১৯৭৩ সন ও ১৯৭৯ সনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ঘাটাইল-৩ আসন থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। প্রকাশিত নাটকের নাম - কেউ দাবায়া রাখতে পারবা না।
সাইয়িদ আতিকুলস্নাহঃ জন্ম- ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দ। গ্রাম- আঠারদানা। শিÿা- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্টবিজ্ঞানে এম.এ। বিশিষ্ট ব্যাংকার। ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার, জনতা ব্যাংক। পরে সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত হন।কবিতা ও গল্প লেখক। গল্পে বাংলা একাডেমীর পুরস্কার (১৯৭৪), কবিতায় সুফি মোতাহার হোসেন পুরস্কার, হাসান হাফিজুর রহমান স্বর্ণপদক, পদাবলী পুরস্কার এবং ময়মনসিংহ আবুল মনসুর আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার পান। তার প্রকাশিত বই- বুধবার রাতে, আমাকে ছাড়া অনেক কিছু, অদৃশ্য পথিকের গান, আধির যতো শত্রম্ন মিত্র, এই যে তুমুল বৃষ্টি, সবখানেই চড়া রোদ, সরল চাদের খেলা, সে পড়েন হ্রদ ও অন্যান্য, খায়রিল আনোয়ারের শেষ কবিতা, শাসন নেই ধমক নেই, রোজ তোমাকে বেরম্নতে হয়, যদি কিছু পাই, একই টেবিলে দশ জন।
সিরাজ উদ্দিন চৌধুরীঃ জন্ম- ১৩২৩ বাংলা। গ্রাম- ধলাপাড়া, সনেট রচয়িতা। প্রকাশিত বই- ১. সাঝের বলাকা ২. আদরজান।
সিরাজ সৈকতঃ জন্ম- ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দ। গ্রাম- কান্দুলিয়া। পিতা- আনসার উদ্দিন তালুকদার ও মাতা- আমিনা বেগম। বাংলা ভাষা ও সাহিত্য এম.এ। পেশা- অধ্যাপনা। গল্প, ছড়া ও কবিতা লেখেন। প্রকাশিত বই- স্মৃতি যেন বিষধর সাপ।
এস.এ.এস.এম জাকারিয়াঃ জন্ম-১৯৩১ খ্রিস্টাব্দ। বর্তমানে ঘাটাইলের বাসিন্দা। পিতা- সৈয়দ আবদুল আজিজ, মাতা- সৈয়দা সফুরা খাতুন। ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ ও লেখক। তার প্রকাশিত বই- স্মৃতি ও চেতনা, জীবন এবং জীবন, কাকতলীয়।
সোহরাব পাশাঃ জন্ম-১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দ। গ্রাম- ফুলহারা। পিতা- জোয়াহের আলী মিয়া ও মাতা হেবাতুন্নেসা। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এম.এ। পেশা- অধ্যাপনা। প্রকাশিত বই- পাথর রাত্রি, আনন্দ বাড়ী নেই।
স্বাধীন আজমঃ জন্ম- ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে। গ্রাম- মলাজানি। পিতা- সৈয়দ সোহরাব সরকার। শিÿা- সণাতক। পেশা- সাংবাদিকতা। প্রকাশিত গ্রন্থ- বেদনায় ভাঙ্গে হৃদয়।
এছাড়াও যারা নিয়মিত লেখালেখি করেন তাদের মধ্যে রয়েছেন- জয়নাল আবেদীন খান (নাটশালা), ডাঃ রিজিনা আকতার রিনা (গাদাইর), শামীম খান (বীর ঘাটাইল), তুতিয়া ইয়াসমিন পাপিয়া (নূরপাড়া), নাসির আহমেদ (লাউয়াগ্রাম), কামাল হোসেন (গর্জ্জনা), সাইফুল ইসলাম ভূইয়া (লোকেরপাড়া), হুমায়ুন তালুকদার (দশআনী বখশিয়া), শেখ জয়েন উদ্দিন (চরপাড়া), হায়দার রহমান (কর্ণা), সোহেল পারভেজ (সিংগুরিয়া), আতা খন্দকার (আঠারদানা), আকবর আলী খান (ঘাটাইল), এলিনা পারভিন (গর্জ্জনা), আশরাফুল ইসলাম মুকুল (বেতবাড়ী), দীপ্তী চক্রবর্তী (ঘাটাইল), অনামিকা আক্তার মনি (বকশিয়া) প্রমুখ।
তথ্যসূত্রঃ
1. বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসঃ মাহবুবুল আলম
2. টাংগাইলের ইতিহাসঃ খন্দকার আবদুর রহিম
3. ময়মনসিংহের সাহিত্যে ও সংস্কৃতিঃ ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ
4. ময়মনসিংহের ইতিহাস ও ঐতিহ্যঃ কেদার নাথ মজুমদার
5. টাঙ্গাইলের ইতিহাস ও ঐতিহ্যঃ সম্পাদনা মুহম্মদ বাকের
6. ময়মনসিংহের চরিতাভিধানঃ দরজি আবদুল ওয়াহাব
7. বাংলাদেশের লেখক পরিচিতিঃ বাংলা একাডেমী
8. ভূঞাপুরের ভালোমানুষঃ গোলাম রববানী রতন সম্পাদিত
9. ফাল্গুনী বিভিন্ন সংখ্যা।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS